উৎসবে সীতাভোগ মিহিদানা ও অন্যান্য মিষ্টি নিজেই বানান - ashrafpur
SUBTOTAL :

Follow Us

নারীর সংসার
উৎসবে সীতাভোগ মিহিদানা ও অন্যান্য মিষ্টি নিজেই বানান

উৎসবে সীতাভোগ মিহিদানা ও অন্যান্য মিষ্টি নিজেই বানান

নারীর সংসার
Short Description:

Product Description




মিষ্টি দেখলেই জিভে,জল চলে আসে। আর সেটা যদি নিজের হাতে তৈরি করে, সকলে মিলে পরিবেশন করেন, সেটার আহ্লাদ যে কতখানি, মতো নয় ।
যাই হোক বাজার থেকে কিনে কি আর পেট ভরানো যায় বাঙ্গালীর, তাই ঘরে বসে নিজেই তৈরি করুন আপনার পছন্দের

সীতাভোগ



উৎপত্তিঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বর্ধমান, ১৯০৪ সালে

 মিষ্টি প্রস্তুতকারকঃভৈরবচন্দ্র নাগ

 সীতাভোগঃ বর্ধমানের বিখ্যাত মিষ্টি সীতাভোগ 

উপকরণ:বাসমতী চাল আধ কেজি আধঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে,চিনি ৩ কাপ,কিশমিশ আধ কাপ,গরম মসলা, এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি,কমলার রস ১ কাপ,দারচিনি অল্প , মোরব্বা আধ কাপ,ছোট সাইজের পানতুয়া ২৫০ গ্রাম, জাফরান রং আধ চা চামচ,ঘি বা বাটার অয়েল ১ কাপ,গুঁড়ো দুধ ২ টেবিল চামচ,পেস্তাবাদাম স্বাদমতো,কাজুবাদাম স্বাদমতো, মেওয়া আধ কাপ(গুঁড়ো দুধ ২টেবিল চামচ, ঘি আধ চাচামচ, গুঁড়ো চিনি ১ চা চামচ, গোলাপজলআধ চা চামচ সব একত্রে মিলিয়ে নিতে হবে)।

প্রস্তূত প্রণালীঃ

পরিমাণমতো জল ফুটিয়ে নিতে হবে।জল ফোটানোর সময় ২ টেবিল চামচ ঘিও রং দিয়ে ফুটাতে হবে। জলে ভিজিয়ে রাখা চাল দিয়ে শক্ত ভাত রান্না করে নিতে হবে। ঝাঁজরিতে ভাত ঢেলে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। এখন বড় পাত্রে ভাত, চিনি, গরম মসলা,গুঁড়ো দুধ, আনারস, মোরব্বা, গরম ঘি মিশিয়ে অল্প আঁচে বসিয়ে রাখতে হবে ঘন্টাখানেক তাওয়ার ওপর। দু তিনবারওপর নিচ করে দিতে হবে হালকা হাতে। নামানোর আগে বাদাম, কিশমিশ ও মেওয়া দিয়ে নেড়ে নামাতে হবে। পানতুয়া দিয়ে সাজিয়েপরিবেশন করুন। আসল সীতাভোগ প্রণালীসীতাভোগের প্রধান উপাদান সীতাসের প্রজাতির গোবিন্দভোগ চাল। কথিত আছে যে সীতাসেরপ্রজাতির গোবিন্দভোগ চাল থেকে প্রস্তুত হওয়ার কারণেই সীতাভোগের একটি নিজস্ব স্বাদ ও সুগন্ধ হয়।[৩]উক্ত সীতাসের বর্ধমান জেলার এক বিশেষ অঞ্চলেই উৎপাদিত হয়। এই চাল গুঁড়ো করে তাতে ১:৪ অনুপাতে ছানা মিশিয়ে পরিমাণমত দুধ দিয়ে মাখাহয়।[৩]তারপর একটি বাসমতী চালের আকৃতির মত ছিদ্রযুক্ত পিতলের পাত্র থেকে উক্ত মিশ্রণকে গরম চিনির রসে ফেলা হয়। এর ফলে সীতাভোগ বাসমতীর চালের ভাতের মত দেখতেলম্বা সরু সরু দানাযুক্ত হয়। এর সাথে ছোট ছোট গোলাপজাম এবং কখনো কখনো কাজুবাদাম ও কিশমিশ মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়

মা লা ই চ প



উপকরণ :ছানা আধা কেজি, তরল দুধ ২ লিটার, ক্রিম সিকি , কেশর ১ চিমটি, পেস্তাকুচি ২ টেবিল চামচ, চিনি পরিমাণমতো, গোলাপজল সামান্য (ইচ্ছামতো)।সিরার জন্য :২ কাপ চিনি, ৬ কাপ পানি।

প্রস্তুতপ্রণালিঃ

২ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে ১ লিটার করে নিন। এবার তাতে ক্রিম ও চিনি দিয়ে জ্বাল দিয়ে রাখুন। ছানা ফ্রিজে ৩-৪ ঘণ্টা রেখে মথে নিন। এবার গোল গোল করে একটা পাত্রে রাখুন। চিনি ও পানি দিয়ে সিরা তৈরি করে ফুটন্ত সিরায় মিষ্টিগুলো দিয়ে ঢেকে দিন। ১২-১৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে নেড়েচেড়ে আবার ঢেকে দিন। কিছুক্ষণ পর নামিয়ে নিন। ৩-৪ ঘণ্টা সিরায় রেখে তুলে নিন। এবার ঘন করে রাখা দুধে মিষ্টিগুলো দিয়ে চুলায় ৫ মিনিট রেখে নামিয়ে নিন গোলাপ জলে ভিজানো কেশর দিয়ে। ঘন দুধে ৪-৫ ঘণ্টা রেখে পরিবেশন পাত্রে রেখে উপরে পেস্তা কুচি ছড়িয়ে দিন। । ।

বু ন্দি য়া র লা ড্ডু



উপকরণ :বেসন ২ কাপ, পানি পরিমাণমতো, ঘি ৩ টেবিল চা চামচ, চিনি ৩ কাপ, পানি ৩ কাপ, মাওয়া ১ কাপ, গুঁড়া দুধ ৩ টেবিল চামচ, গোলাপ জল সামান্য, ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো, তবক পরিমাণমতো, পেস্তা কুচি ৩ টেবিল চামচ।

প্রস্তূত প্রণালিঃ

প্রথমে বেসন পানি দিয়ে বিট করে নিন। এবার খাবার সোডা দিন। ফাঁপানো হলো কি না দেখে নিন। এবার পানি ও চিনি জ্বাল দিয়ে সিরা তৈরি করে নিন। এতে ঘি দিন। এবার ঝাঁঝরিতে দিয়ে বুন্দিয়া তেলে ছেড়ে ভেজে হালকা গরম ও ঘন সিরায় ছাড়ুন। সিরা থেকে বুন্দিয়া তুলে চিপে মাওয়া ও পেস্তা কুচি দিয়ে মেখে গোল গোল লাড্ডু তৈরি করুন। লাড্ডুর উপর তবক দিয়ে একটি প্লেটে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

ছা না ও না রি কে লে র স ন্দে শ. 


pleaseAshrafpur.com

উপকরণ :ছানা ১ কাপ, নারিকেল বাটা ১ কাপ, এলাচ গুঁড়া ২টি, মাওয়া গুঁড়া ৩ টেবিল চামচ, চিনি পরিমাণমতো, পেস্তা কুচি ১ টেবিল চামচ, ঘি ২ চা চামচ।

প্রস্তূত প্রণালিঃ

ছানা, নারিকেল বাটা, চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে রাখুন। এবার একটা ননস্টিক প্যানে ঘি দিয়ে মাখানো মিশ্রণ ঢেলে দিন। ভালো করে নেড়েচেড়ে দিন। এবার এলাচ গুঁড়া দিন। মাওয়া গুঁড়া দিন। সব উপকরণ একসঙ্গে মিশে গেলে ও প্যানের গা ছেড়ে এলে একটা সমান পাত্রে ঘি ব্রাশ করে মিশ্রণ ঢেলে সমান করে দিন। কিছুটা ঠাণ্ডা হলে সন্দেশ আকারে কেটে উপরে পেস্তা কুচি দিয়ে সাজিয়ে দিন।

কা লো জা ম



pleaseAshrafpur.com

উপকরণ :গুঁড়া দুধ ১ কাপ, ময়দা ২ টেবিল চামচ, ডিম ১টা, বেকিং পাউডার ১ চা চামচ,ঘি ১ টেবিল চামচ, লাল ফুড কালার সামান্য (ইচ্ছা), মাওয়া গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো।সিরার জন্য :১ কাপ চিনি, আড়াই কাপ পানি।

প্রস্তূত প্রণালিঃ

ময়দা, বেকিং পাউডার, গুঁড়া দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার ঘি দিয়ে মেখে ডিম ফেটে মিশিয়ে নিন। ভালো করে মেখে জামের আকারে বানিয়ে ডুবো তেলে মৃদু আঁচে ভেজে নিন। অন্য চুলায় সসপ্যানে চিনি ও পানি দিয়ে সিরা তৈরি করুন। গরম জাম তেল থেকে তুলে চিনির সিরার (ফুটন্ত) সসপ্যানে রাখুন। এবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ২০ মিনিট জ্বাল দিন। এবার চুলা থেকে নামিয়ে কালো জাম ৫-৬ ঘণ্টা সিরার মধ্যে রাখুন। ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন পাত্রে নিয়ে উপরে মাওয়া গুঁড়া ছড়িয়ে পরিবেশনকরুন।

মিহিদানা



pleaseAshrafpur.com

উপকরণ:১ কাপ বেসন৩টেবিল চামচ চালের গুঁড়োকমলা রং চিম্টিএক চিমটি লবন১চা চামচ বেকিং সোডা১ চা চামচ ঘিসিরার জন্য:১ কাপ চিনি১/ কাপ পানি১ চা চামচ লেবুর রস১ চিমটি এলাচ গুঁড়াভাজার জন্য তেল

প্রস্তূত প্রণালিঃ

১। বেসন , চালের গুড়া , বেকিং সোডা, ১ চা চামচ ঘি ও কমলা রঙ একসাথে একটি বাতির মধ্যে ভালকরে মিশিয়ে নিন।
২। ধীরে ধীরে শুকনো উপাদানে পানি মেশাতে থাকুন। এই গোলা অনেকটা দোসা বা ছিটা রুটির গোলার মত পাতলা হবে। তবে খুব বেশি ঘন বা পাতলা করবেন না , বেশি পাতলা হলে একবারে সব তেলে পড়ে যাবে আর বেশি ঘন হলে চামচের ছোট ছোট ছিদ্র দিয়ে কোনো ড্রপ পড়বে না। খেয়াল রাখবেন যাতে গোলাতে কোনো দলা /দানা বেঁধে না থাকে….সবকিছু ভালমত মিশে যায়।
৩। একটি প্যানে তেল গরম করুন। তেল গরম রয়েছে কিনা পরীক্ষা করতে এক ফোঁটা গলা তেলে ফেলুন , যদি সাথে সাথে সেটা লাফ দিয়ে উপরে উঠে যায় ও ফুলে যায় তাহলে বুঝবেনযে তেল প্রস্তুত। এবার নিচের ছবির মত মিহিদানার ঝাঁঝরি বা যেকোনো একটি ছোট ছোট ছিদ্র যুক্ত ঝাঁঝরি চামচ, প্লেট বা সবজি কাটা গ্রেটার ও নিতে পারেন। আমি নিজে গ্রেটার দিয়ে করেছি …সব থেকে ছোট ছিদ্র দিয়ে।
৪। এবার তেলের কড়াইয়ের উপর ঝাঁঝরি চামচ এর হাতা ধরে তার মধ্যে পিটা এক চামচ গোলা দিন। . একটি চামচ দিয়ে ঝাঁঝরি’র উপর রাখা গোলা টা আলতো করে নাড়ুন বা ঝাঁঝরি’র হাত ধরে উপরনিচ ঝাঁকাতে থাকুন যাতে এটা গরম তেলের মধ্যে সমানভাবে ফোঁটাফোঁটা পড়তে থাকে। খেয়াল রাখবেন একবারে অনেক বেশি করে করবেন না তাহলে একটার উপর আরেকটা লেগে যাবে।
৫। সোনালী হওয়া পর্যন্ত ভাজুন তবে খুব বেশি মচমচে করবেন না। হয়ে গেলে তেল থেকেতুলে কিচেন পেপারে রেখে বাড়তি তেল সরিয়ে নিন। দেখুন ছোট ছিদ্র’র কারণে খুব ছোট ছোট বলের মত এগুলো’র আকার হয়েছে যা বুন্দির থেকে অনেক গুণ ছোট আর এ কারণেই এর নাম মিহিদানা।
৬। একটি পুরু প্যানের মধ্যে পানি, চিনি গলে পর্যন্ত নাড়তে থাকুন এবং একটু চটচটে সিরাপ হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিন। দুই আঙুলে নিয়ে চাপ দিয়ে দেখুন যদি একটা তারের মত লেগে থাকে তাহলে বুঝবেন হয়ে গিয়েছে। এখন চুলা’র বন্ধ করে দিন এবং এলাচ গুঁড়াও লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে নিন।
৭। এবার এই মিহিদানার সাথে গরম চিনির সিরা একটা বাটিতে একসাথে মিশিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য ঢেকে একপাশে রেখে দিন। এর মধ্যে মিহিদানা গুলো চিনি সিরাপ শুষেনিবে এবং নরম হবে। তারপর ইচ্ছে মত সাজিয়ে পরিবেশন করুন
পুজোয় কি রঙে সাজবেন পড়ুন
ফর্সা হওয়ার সেরা উপায় পড়ুন

অপেক্ষায়


ব্রন নিয়ে ভাবনা, আর না. আর না
টাক মাথায় চুল..পড়ুন
সন্তান ছেলে চাই নাকি মেয়ে

পোস্টটি বন্ধুদের Shaire করুন pleaseAshrafpur.com

     

0 Reviews:

Post Your Review