ব্রন নিয়ে ভাবনা, আর না আর না - ashrafpur
SUBTOTAL :

Follow Us

হাতুড়ী ডাক্তার
ব্রন নিয়ে ভাবনা, আর না আর না

ব্রন নিয়ে ভাবনা, আর না আর না

হাতুড়ী ডাক্তার
Short Description:

Product Description



রাতে পরিষ্কার মুখ নিয়ে গেলেন ঘুমোতে। সকালেউঠেই দেখলেন কোথা থেকে লাল টুকটুকে এক ‘টিলা’ গজিয়েছে নাকের ওপর। রাস্তায় একটু ধুলো লাগার উপায় নেই, একদিন পেট পুড়ে বিয়েবাড়ির স্পাইসি খাবার খাওয়া নেই- ডেইলি রুটিন থেকে একটু বেপথু হলেই ‘উপহার’ হিসাবে জুটবে গোবদা একটি টুসটুসে ব্রণ।

acne বা ব্রন

ব্রণবিভিন্ন করনে হতে পারে। বয়ঃসন্ধির সময় হরমোনের ক্ষরণ মাত্রার ভারসাম্যের অভাবে ত্বকের তেলগ্রন্থি ও সেবাম ক্ষরণ বেড়ে যায়। এতে লোমকুপ গুলো বন্ধ হয়ে যায় ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়। এভাবে জীবাণুর বিষক্রিয়ায় ত্বকে ব্রণের সৃষ্টি হয়। ব্রণের জীবাণুর নাম ‘প্রোপাইনো ব্যাকটেরিয়াম অ্যাকনে’।ব্রণকখন ও কোথায় ব্রণ হয় বয়ঃসন্ধির সময় প্রথম ব্রণ দেখা যায়। ছেলেদেরক্ষেত্রে ১৬-১৯ বছর বয়সের মাঝে এবং মেয়েদের ১৪-১৬ বছর বয়সে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রে ২০ বছর বয়সের মাঝামাঝি সময় থেকে ব্রণ হওয়ার হার কমে যেতে থাকে।তবে অনেকের ৩০-৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ব্রণ হওয়ার প্রবণতা থেকেই যায়। ব্রণ সাধারণত মুখেই দেখা যায়, তবে পিঠে, ঘাড়ে ও বুকেও হতে পারে।গরমকালে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি

সমাধান

সব ধরনের প্রসাধনী বর্জন করতে হবে। নখ দিয়ে ব্রণ খোঁটাখুঁটি করা যাবেনা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্রণ আপনা-আপনি সেরে যায়।দিনে দুই থেকে তিনবার ফেসওয়াশ সাবান দিয়ে মুখ ধুতে হবে। অনেকে ব্রণ হলে মুখে সাবান ব্যবহার বন্ধ করে দেন অথচ এ সময়ে সাবান দিয়ে মুখ ধুলে উপকার হয়, কেননা সাবান মুখের তৈলাক্ততা দূর করে এবং লোককূপ পরিষ্কার রাখে।

মধু

মধুু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান, যা ভেতর থেকে এই সমস্যার সমাধান করে। মধু হাতের তালুতে নিয়ে মুখে প্রতিদিন ম্যাসেজ করলে এবং প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ মধু খেলে খুব দ্রুত ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এছাড়া মধুর সাথে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলে ব্রণের দাগ ত্বক থেকে দূর করতে বিশেষ কার্যকর।

গোলাপজল ও চন্দনগুঁড়ো

গোলাপজলওচন্দনগুঁড়ো১ টেবিল চামচ চন্দনগুঁড়োয় সামান্য গোলাপজল মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করুন। এটি ব্রণের দাগের ওপর লাগিয়ে রাখুন সারারাত। সকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যবহারে ব্রণের দাগ দূর হবে দ্রুত।  .

লেবুর রস

লেবুররসলেবুর রসের অ্যাসিটিক এসিড ত্বকের ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াধ্বংস করতে সক্ষম। এছাড়া লেবুর রস ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে ব্রণের উপদ্রব থেকে বাঁচায়। প্রতিদিন লেবুর রসের সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে তুলোর বল ভিজিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ২ ঘণ্টা। ব্রণও ব্রণের দাগ থেকে রেহাই পাবেন।

অলিভঅয়েল

অলিভঅয়েলব্রণের দাগ দূর করতে অলিভ অয়েল জাদুর মতো কাজ করে। প্রথমে কুসুম গরম পানি দিয়ে yমুখ ধুয়ে পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে শুকিয়ে নিন। এরপর হাতে সামান্য অলিভ অয়েল নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন ১০ মিনিট। এপর ৩০ মিনিট পর আবার কুসুম গরম পানি দিয়ে ত্বকধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যবহারে দ্রুত ফল পাবেন।

পুদিনাপাতা

পুদিনাপাতাকয়েকটি পুদিনা পাতা পিষে নিয়ে রস বের করে নিন। একটি পাতলা কাপড়দিয়ে ছেঁকে রস টুকু আলাদা করুন। এই রস প্রতিদিন ত্বকে লাগিয়ে রাখবেন ৩০ মিনিট। এতে দ্রুত ব্রণের দাগ মিলিয়ে যাবে।

শশা

শশা পেস্ট করে ব্রণে লাগিয়ে ১-২ ঘণ্টা রেখে দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। শশা ত্বক পরিষ্কার করে এবং ব্রন প্রতিরোধ করে। ২ সপ্তাহ ব্যবহার করতে হবে

আলু

আলুকাঁচা আলু ত্বকের দাগ দূর করতে বেশ কার্যকরী। আলু ধুয়ে মুছে নিয়ে পাতলা করে স্লাইস করে ত্বকে ভালো করে ঘষে নিন। এতে করে ত্বকের দাগ হালকা হয়ে আসবে। এবং ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবে।হলুদওপুদিনাপাতাপুদিনা পাতার রসের সাথে সামান্য হলুদ মিশিয়ে নিন। ত্বকের ওপর লাগান, বিশেষ করে ব্রণের দাগের ওপর। ২০ মিনিট রেখে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। খুব দ্রুত ব্রণের দাগ দূর করতে এই পদ্ধতিটিব্যবহার করুন।




ভেশয ঔষধ



ঘৃতকুমারী (Aloe vera)পাতার জেল ব্রণের চিকিৎসায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এনজাইম সমৃদ্ধ এই জেলে রয়েছে এন্টি ইনফ্লামেটরী ও এন্টি ব্যাকটেরিয়া উপাদান যা ব্রণ নিরাময়ে কার্যকর । এই জেল দিয়ে তৈরি শরবত গ্রহন করলে হজম প্রক্রিয়া ভাল হয় এবং শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় ত্বক পরিষ্কারে সাহায্য করে । কমপক্ষে ১ মাস ব্যবহার করতে হবে।




এলোপ্যথিক চিকিৎসা



রোগীর ব্রণ আক্রান্তের টেট্রাসাইক্লিন ১৮৫১ সাল থেকেই ব্রণ চিকিৎসায় ব্যবহূত হচ্ছে। টেট্রাসাইক্লিন দামে সস্তা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম এবং অত্যন্ত কার্যকরী। এই অ্যান্টিবায়োটিক ব্রণ তৈরি করার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াকে দমন করে। তবে সমস্যা হচ্ছে এ ক্ষেত্রে কয়েক মাস ধরে এই অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে যেতে হয়। এর দ্রুত কোনো উন্নতি লক্ষ করা যায় না। সাধারণভাবে এ ওষুধ খাওয়ার ১ থেকে দেড় মাস পর উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। আর একটি ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক হচ্ছে মিনোসাইক্লিন। মিনোসাইক্লিন টেট্রাসাইক্লিনের চেয়েও অধিক কার্যকর। দেখা গেছে, ৫০০ মিলি গ্রাম টেট্রাসাইক্লিনের চেয়ে ১০০ মিলি গ্রাম মিনোসাইক্লিন বেশি কার্যকর।Doxycycline – ব্রণ চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত ডক্সিসাইক্লিন একটি চমৎকার ওষুধ



 

হোমিওপ্যাথিক

Calcarea phosphorica – ক্যালকেরিয়া ক্যালকেরিয়া ফস হলো ব্রণের সবচেয়ে কমন এবং সবচেয়ে কাযর্কর ঔষধ। রোজ দুইবেলা করে এক বা দুই সপ্তাহ খান।

pleaseAshrafpur.com

homeopathybd

লোশন

ব্রন এর অতি কাযকরি একটা লউসন আসে আপনি ১week দিলেই বুজতে পারবেন কত কমে গেসে। সানফি কম্পানি macrosin-T bissoy


PleaseAshrafpur.com


Rx

একবার ব্রনের ডাক্তার দেখিয়েছিলাম।উনার দেয়া মেডিসিন নিয়ে ব্রন এক মাসের মধ্যে ৯৯% ভালো হয়ে গিয়েছিলো।

ওষুধের নামগুলো হলঃ

 ১। ম্যাক্রোসিন টি Macrocine T......একটা লিকুইড লোশানের মত। দাম ৩৭৭ টাকা। রাতে ঘুমানোর আগে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখধুইয়ে ভালমত শুকিয়ে লাগাতে হবে।

 ২। Doxycycline.........এই নামের একটা ট্যাবলেটও ছিল। রুপালি প্যাকেটে সবুজ রঙে Doxycycline লেখা। এটা রাতের খাবারের পর দুই গ্লাস পানি খেয়ে তৃতীয় গ্লাস পানির সাথে খেতে হবে। 

৩। Ecolac Gel....... এটা একটা স্বচ্ছ পানির মতো জেল। এটা ব্রণকে দশ মিনিটের মধ্যে ১ ঘণ্টার জন্য সম্পূর্ণ অদৃশ্য করে দেয়। বাইরে কোথাও যাওয়ার আগেভালো করে মুখ ধুয়ে নিয়ে এই জেলটা লাগাতে হয়। একটু ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগে। সরাসরিতে ধুলাবালিতে না আসলে এইটা ব্রণকে অদৃশ্য করে রাখে অনেকক্ষন ধরে। (এইটামেয়েরা প্রচুর ইউজ করে, স্বীকার করে না)এই ওষুধের সাথে প্রচুর নিয়মকানুনও মেনে চলতে বলেছিলেন, সেগুলো এই পোস্টে ভালোভাবেই লেখা আছে।আপনার ব্যবহার করে দেখতে পারেন। বিশেষ করে ম্যাক্রোসিন টি, এটা একাই একশো।

0 Reviews:

Post Your Review