কিরণমালা'য় মজেছে বেশ, বাড়ছে লাশ পৱছে দেশ, বাংলাদেশ প্রতিদিন - ashrafpur
SUBTOTAL :

Follow Us

অন্যান্য
কিরণমালা'য় মজেছে বেশ, বাড়ছে লাশ পৱছে দেশ, বাংলাদেশ প্রতিদিন

কিরণমালা'য় মজেছে বেশ, বাড়ছে লাশ পৱছে দেশ, বাংলাদেশ প্রতিদিন

অন্যান্য
Short Description:

Product Description

‘‘এটা একদম ঠিক হচ্ছে না। মোটেই ভাল মেসেজ নয়। আমি তো বলব অত্যন্ত কুরুচির পরিচয়" সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

কথাগুলো বললেন পটলকুমার গানওয়ালার তুলি চরিত্রের সিঞ্চনা সরকার কে নিয়ে, কারন ৬ বছরের একটি শিশুকে শেখানো হচ্ছে, কু রুচিপুর্ন কিছু অসামাজিক টিপস্! অন্যদের মানসিকতাতো নষ্ট করছে, সাথে নিজের ভবিৎষ্যদের ১২ টাও বাজাচ্ছে, কত মহৎ বাবা মায়ের ধন সিঞ্চনা সরকার,, যদিও সৎ সন্তানদের ভাগ্যে কিছুটা শান্তি জুটত, এই বেয়াদপ চরিত্র গুলো দেখে সেটাও মুছে যাবে কপাল থেকে! জানিনা কত মানসিকতা নিয়ে ওরা কাহিনীগুলো তৈরি করছে,,

এসব চরিত্রগুলোর জন্য ভারতের গনমাধ্যম গুলোও কম বলাবলি করছেনা, তারাও তো বুঝতে পারছে, চলো পাল্টাই নামে স্টার জলসা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তাদের ভবিৎষ্যদের মানসিকতা

, আনন্দ বাজার পত্রিকার একটা সংবাদ পড়ে দেখুন,

.ছ’বছরের মেয়ে ‘ভিলেন’? বিতর্কে বাংলা সিরিয়ালস্বরলিপি ভট্টাচার্য২২ অগস্ট, ২০১৬, ১২:১০:১৮FacebookTweet........... পটলকুমার গানওয়ালা’-র একটি দৃশ্যে সিঞ্চনা।বয়স ছয়। স্কুল টালিগঞ্জ গার্লস। পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস মালদহ। আর প্রেজেন্ট, প্রিন্স আনোয়ার শাহরোড।এই ছ’বছরেই সে গত কয়েক মাস ধরে নিয়ম করে সন্ধে সাড়ে ছ’টার স্লটে হাজির হচ্ছে বাঙালির ড্রইংরুমে। সৌজন্যে ‘পটলকুমার গানওয়ালা’। না! ‘পটল’ আজকের সাবজেক্ট নয়। আজ ফোকাসে রিল লাইফের এই ছ’বছুরে। ‘তুলি’। রিয়েল লাইফের সিঞ্চনা সরকার। ওই জনপ্রিয় ধারাবাহিকের খলনায়িকা। হ্যাঁ, নায়িকাই বলা যায়। কারণ তার অভিনয় নায়িকাসুলভ তো বটেই। আর কথা বলা, তাকানো, এক্সপ্রেশন— সবেতেই ‘ভিলেন’ এলিমেন্ট স্পষ্ট। তাই ‘খল’নায়িকা। সে কারণেই সব লাইমলাইট এই মুহূর্তে ‘তুলি’র ওপর। ভাল অভিনয়ের প্রশংসা তো ঝুলিতে রয়েইছে। কিন্তু, সেটা ছাপিয়ে উঠে আসছে বিতর্ক।প্রশ্ন উঠছে, এই বয়সের শিশু অভিনেতাকে দিয়ে এই নেগেটিভ চরিত্র করানোটা কতটা যুক্তিসঙ্গত? সোশ্যালমিডিয়ায় এই নিয়ে চলছে বিস্তর চর্চা।সপাট জবাব দিলেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।বললেন, ‘‘এটা একদম ঠিক হচ্ছে না। মোটেই ভাল মেসেজ নয়। আমি তো বলব অত্যন্ত কুরুচির পরিচয়। আমার বাড়িতেও এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি দেখেছি, মেয়েটি এত বুদ্ধি করে দুষ্টুমি করে যেটা ওর পক্ষে করা অসম্ভব। বাস্তবে এমন মেয়ে আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে এতটা নেগেটিভ দেখানো বোধহয় ঠিক নয়। শিশু তো কাদার তাল। ওর মনেও তো প্রভাব পড়তে পারে!’’ ‘তুলি’-র এক্সপ্রেশন কতটা নিজের? আর কতটা শেখানো?দীর্ঘদিন ধরে ‘তুলি’র চরিত্রে অভিনয় করতে করতে বাস্তবে সিঞ্চনার অ্যাটিটিউডেও কি কোনও পরিবর্তন হতে পারে?‘‘আশঙ্কাটা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে ওকে না দেখে বলাটা বেশ মুশকিল। দেখতে হবে কতটা ও নিজে অভিনয় করছে, আর কতটা ওকে দিয়ে করানো হচ্ছে’’ বলছেন মনোবিদ মোহিত রণদীপ।আদৌ কতটা বদলেছে ছোট্ট সিঞ্চনা? শেয়ার করলেন ‘তুলি’র মা রীতা সরকার। বললেন, ‘‘দেখুন আমার মেয়ে ক্যামেরার সামনে তুলি আর ক্যামেরা অফ হলেই সিঞ্চনা।আমার মনে হয়নি ওর কোনও চেঞ্জ হয়েছে। ও ভাল অভিনয় করছে। আমি তাতেই খুশি।’’আর দর্শক? যাঁরা অভিনেতাদের কাছে ভগবান? তাঁদের মধ্যে ‘তুলি’র নেগেটিভিটির প্রভাব কতটা?‘‘বড়দের কুচুটেপনাটা আমি দেখি না। কিন্তু ওরটা দেখছি। এ বার সেরা খলনায়িকার অ্যাওয়ার্ড ওর বাঁধা।’’—বললেন পঞ্চাশোর্ধ গৃহবধূ কৃষ্ণা মজুমদার। কলেজ পড়ুয়া শ্রীতমার কথায়, ‘‘তুলি অভিনয়টাফাটাফাটি করছে কোনও সন্দেহ নেই। সে জন্যই গায়ে জ্বালা ধরছে আমাদের। তবে আমার ভাইঝি ক্লাস ফোরে পড়ে। ওকে আমরা সিরিয়ালটা দেখতে দিই না। কারণ ওটা দেখে ওই অ্যাটিটিউটা ও যদি কপি করার চেষ্টা করে, সেই ভয়টা তো আছেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে এই বিতর্ক। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।শিশু মনস্তত্ব নিয়ে কাজ করেন মনোবিদ সুদীপা বসু। তাঁর কথায়, ‘‘আমি খুব রেগুলারলি দেখি না। তবে বিতর্কটা শুনেছি। যারা রোজ দেখছেন তাঁদের বেশির ভাগই বিরক্ত। দর্শকরাই বলছেন, এতটুকু বাচ্চাকে ভিলেনের রোলে দেওয়াটা হয়তো ঠিক নয়। হিংসের চোটে অন্য একটি বাচ্চার (পটলের) জামাও পুড়িয়ে দিচ্ছে! এই সিরিয়ালটা অনেক বাচ্চাও তো দেখে। তারা তো বড়দেরমতো অ্যানালিটিক হতে পারে না। ফলে তাদের ওপর একটা প্রভাব তো পড়বেই। আমরা তো দেখেও অনেক কিছু শিখি। তাই না?’’ এই মুহূর্তে টেলি দুনিয়ার পয়লা সেলেব ‘ভুতু’ ওরফে আরশিয়া মুখোপাধ্যায়। সরাসরি প্রশ্ন করা গেল ভুতুর মা ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়কে। এই অফারটা ভুতু পেলে রাজি হতেন? ছোট্ট পজ নিয়ে ভাস্বতী বললেন, ‘‘হয়তো রাজি হতাম না।’’কেন?‘‘ওরা তো ছোট। কোনটা অভিনয় আর কোনটা আসল সেটা বুঝতেপারে না। ফলে ব্যবহারে চেঞ্জ আসতে পারে। আমার মেয়েইতো টিভিতে দেখে কখনও বলে, দেখ তুলি কত দুষ্টু! তবে এর একটা অন্য দিকও আছে। সেটা নিয়েও আলোচনা হওয়া দরকার।’’কী সেটা?‘‘তুলি আসলে অভিনয় করছে। আসল মানুষটা অমনটা নয়। এটাই আমাদের মানে বাবা-মায়েদের বাড়িতে বাচ্চাদের বোঝাতে হবে। আর নেগেটিভিটি যদি বাস্তবে না থাকত তা হলে তো সিনেমায় কখনও ভিলেন থাকত না, কোনও সুইসাইডও দেখানো হত না। সেটা আদৌ হয় কী?’’অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছে সিঞ্চনা।তা হলে উপায়?শীর্ষেন্দুর মতে, এ সব না দেখানোই ভাল। মোহিতের কথায়, ‘‘আমাদের একটা প্রপার গাইডলাইন থাকা দরকার। এতছোট বাচ্চাকে দিয়ে এগুলো করানো ঠিক কি না সেটা আগে ঠিক করতে হবে।’’ কিন্তু, যাঁদের নিয়ে এত বিতর্ক তাঁরা কী বলছেন?না! টিম ‘পটলকুমার গানওয়ালা’ স্পিকটি নট। যোগাযোগেরচেষ্টা করা হলেও তাঁদের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি

আনন্দবাজার

'কিরণমালা'য় মজেছে বেশ, বাড়ছে লাশ পুড়ছে দেশ-বাংলাদেশ প্রতিদিনের

.বিশ্লেষণধর্মী এ প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে,ভারতীয় সিরিয়ালের আগ্রাসন দেশের মানুষের মধ্যে কতটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে তা আরও একবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন হবিগঞ্জের বাসিন্দারা। গত বুধবার হাবিবগঞ্জ জেলার ধল গ্রামে 'কিরণমালা' সিরিয়াল দেখা নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি, পরে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। দু'পক্ষের এই সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়। এর আগে, পাখি চরিত্রের আদলে তৈরি পোশাক 'পাখি ড্রেস'কে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি লঙ্কাকাণ্ড ঘটে গেছে বাংলাদেশে। আত্মহত্যা থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রী হত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে এই দেশে। যা এখনও চলমান। এরমধ্যে হালের কিরণমালা ক্রেজে পুড়ছে ঘর আর বাড়ছে লাশ। প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে, স্টার জলসা, জি বাংলাসহ কলকাতার টিভি চ্যানেলগুলোতে সংসারের ঝগড়াঝাঁটি ও পুরাণিক কাহিনী নিয়ে ধারাবাহিক সিরিয়াল প্রচারিত হচ্ছে। এসব সিরিয়ালে আসক্ত হয়ে পড়ছেন দেশের গ্রামাঞ্চলের নারী ও গৃহধূরা থেকে শুরু করে আবাল-বৃদ্ধা। পরিবারের কাজকর্ম ফেলেমগ্ন থাকছেন ওই সব সিরিয়ালে। আর এতে ঘটছে নানা অঘটন। প্রতিবেদনটিতে বেশ কিছু মর্মান্তিক ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে,গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর বড়দাপ গ্রামে কিরণমালা দেখতে গিয়ে ১৬টি পরিবারের বসতবাড়ি-জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কিরণমালার সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে গত শনিবার সাতক্ষীরার শ্যামনগরে। বাদুড়িয়া গ্রামের সবুর মোল্লার পরিবারের সবাই যখন একত্রে বসে কিরণমালা তখন পরিবারের দুই শিশু পুকুরে পড়ে মারা যায়।কুষ্টিয়ার খোকসায় কিরণমালা দেখার সময় তালাবদ্ধ ঘরের ভেতরেপুড়ে অঙ্গার হয়ে যায় ছো্ট্ট মেয়ে ঋতু।কিরণমালা দেখার কারণে আগুনে ঘর পুড়ে ছাই, ছেলে-মেয়ের মৃত্যু, বোনের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা, দু'পক্ষের সঙ্গেসংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা কিন্তু দু'একটা নয়। প্রায় প্রতিদিনই কিরণমালাসহ অন্যান্য সিরিয়াল দেখা নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে। এদিকে, এসব ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর নড়েচড়ে বসেছেন দেশের সাংস্কৃতিক বোদ্ধারা। তাদের মতে, এটা দেশের সংস্কৃতির ওপর বড় আঘাত। তাই অচিরেই এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ভবিষ্যতে দেশিয় সংস্কৃতি হুমকির মুখে পড়বে। পরকীয়ার প্রকোপবাড়বে, দেখো দেবে মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব, ভেঙে যাবে দীর্ঘদিনের পারিবারিক বন্ধন, মুখ-দেখাদেখি হবে ভাই-বোনদের মধ্যে

রেডিও তেহরান

মূল প্রতিবেদন টি বাংলাদেশ প্রতিদিন এ প্রকাশ হয়, পুরা পড়ে দেখুন

কিরণমালা' য় মজেছে বেশ, বাড়ছে লাশ পুড়ছে দেশ


কিরণমালা' য় মজেছে বেশ, বাড়ছে লাশ পুড়ছে দেশ 'কিরণমালা'য় মজেছে বেশ, বাড়ছে লাশ পুড়ছে দেশ ভারতীয় সিরিয়ালের আগ্রাসন দেশের মানুষের মধ্যে কতটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে তা আরও একবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন হবিগঞ্জের বাসিন্দারা। গত বুধবার হাবিবগঞ্জ জেলার ধল গ্রামে 'কিরণমালা' সিরিয়াল দেখা নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি, পরে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। দু'পক্ষের এই সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়। সিরিয়াল নিয়ে বাংলাদেশির এমন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার খবর ফলাও করে প্রকাশ করে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমও। তবে সিরিয়ালের এমন আগ্রাসন নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগে, পাখি চরিত্রের আদলে তৈরি পোশাক 'পাখি ড্রেস'কে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি লঙ্কাকাণ্ড ঘটে গেছে বাংলাদেশে। আত্মহত্যা থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রী হত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে এই দেশে। যা এখনও চলমান। এর মধ্যে হালের কিরণমালা ক্রেজে পুড়ছে ঘর আর বাড়ছে লাশ। স্টার জলসা, জি বাংলাসহ কলকাতার টিভি চ্যানেলগুলোতে সংসারের ঝগড়াঝাঁটি ও পুরাণিক কাহিনী নিয়ে ধারাবাহিক সিরিয়াল প্রচারিত হচ্ছে। এসব সিরিয়ালে আসক্ত হয়ে পড়ছেন দেশের গ্রামাঞ্চলের নারী ও গৃহধূরা থেকে শুরু করে আবাল-বৃদ্ধা। পরিবারের কাজকর্ম ফেলে মগ্ন থাকছেন ওই সব সিরিয়ালে। আর এতে ঘটছে নানা অঘটন। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ১৬ পরিবার নিঃস্ব: গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর বড়দাপ (সরকারপাড়া) গ্রামে কিরণমালা সিরিয়ালটি দেখতে গিয়ে ১৬টি পরিবারের বসতবাড়ি-জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। জানা যায়, ওইদিন রাত ৮.৪০ মিনিটে বাড়িতে সবাই 'কিরণমালা' সিরিয়াল দেখার সময় চুলার আগুন ফুসকে রান্নাঘরে আগুন লাগে। এরপর তা আশপারের বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও মালামাল কিছুই রক্ষা করা যায়নি। পরে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৩২০ কেজি চাল, ১৬টি পরিবারের মধ্যে ৮টি পরিবার বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাদেরকে ১ বান করে ৯ ফুট ঢেউটিন প্রদান করা। পানিতে ভাসছে ২ শিশুর নিথর দেহ: কিরণমালার সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে গত শনিবার সাতক্ষীরার শ্যামনগরে। ওই দিন সকাল ৯টায় উপজেলার বাদুড়িয়া গ্রামের সবুর মোল্লা নামের এক পরিবারের সবাই একত্রে দেখছিলেন কিরণমালা। একই সময় পুকুর পাড়ে খেলা করছিলেন সবুর মোল্লার ছেলে আসাদুর রহমান (৬) ও তার চাচাতো বোন মনিরা খাতুন (৪)। একপর্যায়ে সবার অগোচরে শিশু দুটি পুকুরে পড়ে যায়। যখন সিরিয়াল শেষ হয় ততক্ষণে না ফেরার দেশে চলে যায় অবুঝ শিশু দুটি। পরিবারের সদস্যরা দেখেন পুকুরের পানিতে ভাসছে দুটি নিথর দেহ। দুই সন্তানকে হারিয়ে শোকের ছায়া নেমে আসে পুরো বাড়িতে। ঘরের ভেতরে পুড়ে অঙ্গার তালাবদ্ধ মেয়ে: ভারতীয় সিরিয়াল দেখতে গিয়ে গত শুক্রবার রাত ৮টায় আরেক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে কুষ্টিয়ার খোকসায়। উপজেলার চকহরিপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী শোকেলা খাতুন বাড়ির পাশের দোকানে দলবেঁধে কিরণমালা দেখতে যান। স্টার জলসার এই সিরিয়ালের প্রতি এতটাই নেশা ছিল তার যে দুই শিশু কন্যাকে ঘরে ঘুম পাড়িয়ে রেখে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে দেন তিনি। এরই মাঝে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন ধরে তা পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বড় মেয়ে সায়মা (১০) ঘরের জানালা দিয়ে বেরিয়ে আসতে হলেও আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয় ছোট মেয়ে ঋতু (৭)। কিরণমালায় মগ্ন থাকা মা খবর পেয়ে যখন বাড়িতে পৌছন তখন দেখেন সব শেষ। প্রতিবেশীরা গুরুতর দগ্ধ সায়মাকে উদ্ধার করে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। বোনের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা: কিরণমালা দেখা নিয়ে ২০১৫ সালের ২৭ আগস্ট নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বোড়াবাড়ি এলাকায় চিত্তরঞ্জন সাহার দুই কন্যার মধ্যে ঝগড়া হয়। এটা এতোটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে যে এক পর্যায়ে বড় বোন সঞ্জিতা সাহা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। কিরণমালা দেখার কারণে আগুনে ঘর পুড়ে ছাই, ছেলে-মেয়ের মৃত্যু, বোনের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা, দু'পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা কিন্তু দু'একটা নয়। প্রায় প্রতিদিনই কিরণমালাসহ অন্যান্য সিরিয়াল দেখা নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মান-সম্মানের ভয়ে এসব বিষয় এড়িয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। তারপরও কিছু কিছু ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। যা, দেখে হতবাক হই আমরা। তবে শুধু কি আমরা, যাদের দেশের তৈরি এই সিরিয়াল, তারাও ভারতীয় সিরিয়ালের ফলে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আগ্রাসনও ফলাও করে প্রকাশ করে। এদিকে, এসব ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর নড়েচড়ে বসেছেন দেশের সাংস্কৃতিক বোদ্ধারা। তাদের মতে, এটা দেশের সংস্কৃতির ওপর বড় আঘাত। তাই অচিরেই এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ভবিষ্যতে দেশিয় সংস্কৃতি হুমকির মুখে পড়বে। পরকীয়ার প্রকোপ বাড়বে, দেখো দেবে মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব, ভেঙে যাবে দীর্ঘদিনের পারিবারিক বন্ধন, মুখ-দেখাদেখি হবে ভাই-বোনদের মধ্যে। জানা গেছে, ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্টার জলসায় প্রতি সোম থেকে রবিবার রাত ৮টায় কিরণমালা সিরিয়ালটি প্রচারিত হয়। পরদিন সকালে সেটি পুনঃপ্রচার করা হয়। 'ঠাকুর মা’র ঝুলি থেকে নেয়া সিরিয়ালটির কাহিনী মূলত ‘কিরণমালা’ চরিত্রটিকে কেন্দ্র করে। জন্মের পর থেকেই রাক্ষসী রানী কটকটির সঙ্গে যুদ্ধ করে কিরণমালা। সে সব যুদ্ধেই কটকটিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির জয় করে। এভাবেই এগিয়ে যায় কিরণমালা সিরিয়াল। বিডি-প্রতিদিন/২২ আগস্ট, ২০১৬/রাসেল/মাহবুব

চলবে...

বাংলাদেশ প্রতিদিন

.

পোস্টটি কারো উপকারে এলেই আমি খুশি

পারলে আমার এক বার ঘুরে যাবেন, আর যারা আমার Ashrafpur.com যারা লাইক দেন নি, অনুরোধ Ashrafpur.comএকটা লাইক দিবেন, কোন সমস্যা হলে ">.

কোরিয়ান ভাষা শিখে বিদেশ যেতে চান.তো চলে আসুন এস, এম, কোরিয়া ভাষা শিক্ষা ও কোচিং সেন্টারে

.

0 Reviews:

Post Your Review