গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে, নিজেই জানুন - ashrafpur
SUBTOTAL :

Follow Us

নারীর সংসার
গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে, নিজেই জানুন

গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে, নিজেই জানুন

নারীর সংসার
Short Description:

Product Description


এসময়কালে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সুবাদে গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে সে পরীক্ষা বেশ সহজ হয়েছে।

তবে ২০ সপ্তাহের আগে শিশুটির লিঙ্গ Gender সম্পর্কে ডাক্তার জানাতে পারেন না বলেই অনেকেই বলেন।

কিন্তু জেনে অবাক হবেন এই আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির অনেক আগেও শত বছর মতান্তরে হাজার বছর আগেও কিন্তু গর্ভকালীন সময়ে ব্যতিক্রমি সব পরীক্ষায় ঠিকই জানা যেত গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে। 
আর এই পরীক্ষার জন্য সেসময় প্রচলন ছিলো বিচিত্র সব পদ্ধতির।
খুব আগ্রহ হচ্ছে তো জানতে কিভাবে কাজটি করা হতো।অবাক হওয়ারই বিষয়।তখন আলট্রাসোনোর প্রচলন ছিলো না।পরীক্ষা করে জানা সম্ভব ছিলো না গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে।তবে মানুষের মধ্যে কিছু নিজেদের তৈরি নিয়ম ছিলো যা দ্বারা নির্ধারণ করা হতো ছেলে হবে না মেয়ে হবে।

১।পায়েস রান্না করে:৭ মাসের গর্ভাবস্থায় স্বাধ দেওয়ার অনুষ্ঠান হতো।সেই অনুষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী ১ বাড়ি পায়েস ধামা (বাঁশ দিয়ে তৈরি বড় ঝুড়ি বিশেষ) দিয়ে ঢেকে রাখা হতো।তারপর ঢাকনা তুলে পরখ করা হতো।পায়েস যদি ফেটে যেতো তবে বলাহতো মেয়ে হবে আর পায়েস ঠিক থাকলে অর্থাৎ কোন শির বা ফাটল না হলে বলা হতো ছেলে হবে।

২।নাভি পরীক্ষা:গর্ভবতী থাকা কালিন যদি নাভি সামান্য ফুলে উঠে তবে বলা হতো মেয়ে হবে।নাভি পূর্বের মতো স্বাভাবিক থাকলে ছেলে হবে।

৩।খাবারের রুচি:ধারণা করা হতো গর্ভাবস্থায় ঝাল জিনিস বেশি খেতেইচ্ছে হলে ছেলে হবে আর যদি মিষ্টি জাতীয় জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বেশি হয় তবে মেয়ে হবে।

৪।ত্বকের পরিবর্তন:মুখে যদি ব্রণ বা কালো দাগ হতো তবে বলা হতো মেয়ে হবে।মেয়েরা নাকি মায়ের সৌন্দর্য নিয়ে আসে তাই মুখ ব্রণবা কালো দাগ হয়।মুখে যদি কোন প্রকার দাগ বা ব্রণ না হতো তবে বলা হতো ছেলে হবে।

৫।মহিলার নাড়ির রঙ:প্রথম সন্তান হওয়ার পর নাড়ি কাটার সময় যদি দেখা যেতো কালো নাড়ি তবে ধারণা করা হতো পরের সন্তান ছেলে হবে।আর সাদা নাড়ি হলে পরের সন্তান মেয়ে হবে।

৬।পূর্বে কোন সন্তান থাকলে তার মাথার ধরণ:পূর্বের সন্তান যদি কণ্যা সন্তান হতো আর মাথা যদি আলোক মাথা হতো তবে বলা হতো এবার এর ভাই হবে।অন্যথায় বোন হবে।

৭।পূর্বের সন্তানের কথা বলা:পূর্বের সন্তান প্রথমে দাদা বা নানাবলা শিখলে নাকি পরের সন্তান ছেলে হবে আর নানি বা দাদি বলা শিখলেমেয়ে হবে।আমাদের কাছে এগুলো কুসংস্কার মনে হলেও পূর্বের মানুষ এগুলোতেই বিশ্বাস করতো।এভাবে তারা নির্ধারণ করতো গর্ভে কি সন্তান।অনেক ক্ষেত্রে তাদের এ গণনা মিলে যেতো।

পরিক্ষার মাধ্যোমে

এখানে যে পরীক্ষার কথাগুলো বলা হয়েছে তা অনেক ক্ষেত্রেই ফল্প্রসু হয়েছে। তবে আল্লাহতালার কুদ্রতের উপর কারো কন হাত নেই। এ পরিক্ষা যে সবসময় সথিক হবে তা মনে না করাই স্রেয়। এ ধরনের পরিক্ষায় শুধু মানসিক সান্তি পেতে পারেন…তবে এটি কে কেন্দ্র করে কোন সন্তানের জীবন বিপর্যয় বা পারিবারিক অসান্তি কাম্য নয়…

পরিক্ষা পদ্ধতিঃ

প্রথমে একটি পাত্রে ২ চা চামচ পরিমান বেকিং সোডা নিতে হবে, এবং তাতে ভ্রুনের বয়স যখন সাত সপ্তাহ বা তার উপর সে সময়কার সকালবেলার খালি পেটে থাকা অবস্থায় ১ কাপ পরিমান পস্রাব সংগ্রহ করতে হবে। সেই পস্রাব অই বেকিংসোডা মধ্যে ঢালতে হবে।রেজাল্ট-১. যদি বেকিং সোডা পস্রাবের সাথে মিশে কোন বিক্রিয়া না করে হাল্কা বুদবুদ উঠে এবং নিচে তলানি জমা হয় ও উপরে স্বচ্ছ পস্রাব দেখা জায় তবে সেটা সন্তান মেয়ে হবে নিরদেশ করে।২. যদি বেকিং সোডা পস্রাবের সাথে মিশে প্রথমে ঝাজিয়ে উঠে বিক্রিয়া করে ওফেনার স্তরের সৃষ্টি হয় তবে সেটা সন্তান ছেলে হবে নিরদেশ করে। 

ক. কোন খাবারের প্রতি আপনার আকর্ষণবেশীরভাগ মহিলা গর্ভাবস্থায় হরমোন ভারসাম্যহীনতায় ভোগে। যার ফলে তাদের মাঝে বিভিন্ন কিছু খাওয়ার প্রবল ইচ্ছা জাগে। আপনার ক্ষুধিত খাদ্য টাইপ আপনার গর্ভস্থ শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করতে পারে। আপনার যদি মিষ্টি বা চিনিযুক্ত খাবার ইচ্ছা হয়, তাহলে সম্ভবত মেয়ে হবে আর যদি নিমকি এবং মসলাদার খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হয়, তাহলে ছেলে হতে পারে।

খ. পেটে সমস্যা হচ্ছে কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাদের গর্ভাবস্থায় সকালে হালকা বমি বা অন্য কোন সমস্যা হয় নি তাদের ছেলে হয়েছে। তবে, শিশুটি মেয়ে হলে পেটে ব্যথার সৃষ্টি হয় এবং সকালে শারীরিক অসুস্থতা বেশি বৃদ্ধি পায়।

গ. পেটের অবস্থানগর্ভাবস্থায় পেট বেশি ভারী মনে হলে, মেয়ে শিশু হবে। আর যদি ভার কম অনুভূত হয় তাহলে ছেলে হবে। শিশুটি যদি পেটের ডানদিকে আছে বলে মনে হয়, তাহলে মেয়ে হবে। আর যদি সমস্ত পেট জুড়ে বা বামদিকে অনুভূত হয় তাহলে ছেলেহবে।

ঘ. হার্টবিট রেটডাক্তারের নিকট চেকআপের সময়, যখন ডাক্তার আপনার গর্ভস্থ শিশুর হৃদস্পন্দন পরীক্ষা করেন তখন লক্ষ্য রাখুন, হৃদস্পন্দনের রেট কত। হৃদস্পন্দন যদি 140 BPM এর বেশি অথবা সমান হয়, তাহলে শিশুটি মেয়ে। আর যদি হৃদস্পন্দনের রেট 140 BPM এর কম হয়, তাহলে গর্ভস্থ শিশুটি ছেলে হবে।

ঙ. ব্রেকআউটগর্ভাবস্থায় আপনার ত্বকে কি ব্রণ বা অন্য কোন সমস্যা হচ্ছে, যা আপনার সৌন্দর্য নষ্ট করছে? তাহলে অবশ্যই আপনার মেয়ে হবে। আগের দিনের মানুষ বলত, মেয়ে শিশুরা মায়ের সৌন্দর্য চুরি করে, তাই মায়ের চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়। যদিও তা কুসংস্কার।

চ. রিং টেস্টএকটি আংটি নিয়ে সুতার সাথে বেঁধে নিন। তারপর আপনি শুয়ে আপনার পেটের উপর আংটিটি ঝুলিয়ে দিন। এবার আংটিটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করুন। যদি আংটিটি আপনার মাথা ও পায়ের দিকে সমান সমান দুলতে থাকে, তাহলে আপনার মেয়ে হবে। আর যদি রিংটি গোল গোল ঘুরতে থাকে তাহলে আপনার ছেলে হবে।

ছ. শিশুদের উপদেশ নিনগর্ভাবস্থায় থাকা অবস্থায় অনেক আপনজনেরা পেটের সাথে কান লাগিয়ে শিশুটিকেঅনুভব করতে চায়। অনেক ছোট ছোট শিশু আছে, যারা পেটের সাথে কান লাগিয়ে কথাবলতে চায়। সেক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখুন, যদি কোন ছেলে শিশু আপনার পেটে কান লাগিয়ে বারবার শিশুটিকে অনুভব করতে চায়, তাহলে আপনার মেয়ে হবে। আর যদি কোন মেয়ে শিশু এ কাজটি করে, তাহলে আপনার ছেলে শিশু হবে।এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করলে আপনি ডাক্তার বলার আগেই বুঝতে পারবেন, কে আসছে আপনার জীবনে। 

  youtube থেকেও জানুন

 ফ্রি dowanloadকরে নিন, আর উপভোগ করুন ফ্রি Tv, Newse, Radio দেখুন ও পড়ুন, সাথে থাকছে Ashrafpur.comibnaibadat.com  ashrafpur.com

Ashrafpur Apps


তথ্যসূত্র

somoyerkonthosordhakatimes71.bdromoni

সময় নিয়ে পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ

পারলে আমার এক বার ঘুরে যাবেন, আর যারা আমার Ashrafpur.com যারা  দেন নি, অনুরোধ Ashrafpur.comএকটা  দিবেন, কোন সমস্যা হলে .

Eid Mubarak

আমারপ্রানপ্রিয় সকল বন্ধুদেরAshrafpur.com এ একটাদিনব্যাতিক্রমী সব সংবাদ পেতে

0 Reviews:

Post Your Review