নরবলির মতো কুসংস্কার আজও রয়েছে ভারতে
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে নরবলি বা শিশুবলির মতো কুসংস্কারাচ্ছন্ন প্রথা এখনও চলেছে, হিন্দু-মুসলিম উভয় সমাজেই৷ দিন দশেক আগেও কর্নাটকে ১০ বছরের মেয়ে আয়েষাকে বলি দেওয়ার পর পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে তার আত্মীয়রা৷
একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ঝাড়ফুঁক, মন্ত্রতন্ত্র, জলপড়া বা তান্ত্রিকদের দাপট চলছে দিব্যি৷ হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে এই কুসংস্কারের বলি হচ্ছে অনেক জীবন৷ সহজ নিশানা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নাবালক-নাবালিকারা৷ এই তো ১লা মার্চেও ভারতের কর্নাটক রাজ্যের এক মফঃস্বল শহরে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ১০ বছরের আয়েষাকে অপহরণ করে বলি দেওয়া হয়৷ আর এই বলি দেয় মেয়েটির নিকট পরিজনেরাই৷
কেন বলি দিয়েছে? এতে করে নাকি মেয়েটির এক অসুস্থ আত্মীয় সুস্থ হয়ে উঠবে৷ ৩রা মার্চ আয়েষার মৃতদেহ উদ্ধারের পর, পুলিশের বয়ানে এমনটাই বলা হয়৷ রামান্নাগ্রামের জেলা পুলিশ এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের তদন্তসূত্রে গ্রেপ্তার করেছে চারজনকে৷ এরমধ্যে আছেন আয়েষার মামা মহম্মদ ওয়াসিম, যিনি স্থানীয় মসজিদের সেক্রেটারি৷ এছাড়াও আছেন রশিদুন্নেসা, নাসিম তাজ ও ১৭ বছরের এক কিশোর৷
জীবন, ধর্ম, আচার-অনুষ্ঠানে শুভ-অশুভ শক্তি
বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মাঝে
শুভ শক্তি থাকুক আর না থাকুক, শুভ বোধ, আদর্শ মানবজীবনকে অবশ্যই সত্য ও সুন্দরের পথ দেখায়৷ আর তাই, এর বিপরীতের প্রতি মানুষের আকর্ষণ সৃষ্টির সেই আদি কাল থেকে৷ ভূত-প্রেত, আত্মা বা জিন নিয়ে তাই রয়েছে অসংখ্য গল্প, কল্প-কাহিনি আর তার সঙ্গে সঙ্গে অজস্র আচার-অনুষ্ঠান, অন্ধ বিশ্বাস৷
জীবন, ধর্ম, আচার-অনুষ্ঠানে শুভ-অশুভ শক্তি
আদ্যাশক্তি দেবী দুর্গা
অসুরের অত্যাচার, পাপীদের অনাচার আর অশুভ শক্তির উত্থানে মানবতা যখন ভূলুণ্ঠিত, নিষ্পেষিত, তখন সমস্ত দেবতারা, অর্থাৎ সমস্ত শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা, সব নিপীড়িত-নির্যাতিতরা সংঘবদ্ধ হন৷ তাঁদের আকুল আবেদনেই আবির্ভূতা হন আদ্যাশক্তি দেবী দুর্গা৷ হিন্দুধর্ম অনুসারে, মহিষাসুর বধের মাধ্যমে শুভ শক্তিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন তিনি৷
জীবন, ধর্ম, আচার-অনুষ্ঠানে শুভ-অশুভ শক্তি
বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি...
বৌদ্ধ ধর্ম অনুযায়ী, চিন্তা জগতে অশুভ ভাবনার নাম হলো ‘মার’৷ অবশ্য শব্দটি রবীন্দ্রনাথের চিত্রাঙ্গদা এবং মাইকেল মধুসূদনের মেঘনাদবধ কাব্যেও চোখে পড়ে৷ মহাযান বৌদ্ধধর্ম বলে, অশুভ শক্তি ধ্বংস হলে পৃথিবী স্বর্গীয় হয়৷ বুদ্ধদেবের কথায়, ‘‘কাম, ক্ষুধা, পিপাসা থেকে বিরত থাকে ‘মার’-কে দূরে রাখতে পারলে প্রত্যেক জীব ‘বুদ্ধ’ হয়ে উঠতে হতে পারে৷’’
জীবন, ধর্ম, আচার-অনুষ্ঠানে শুভ-অশুভ শক্তি
রূপকথা আর ইতিহাসের পাতায়
এশিয়া বা আফ্রিকার মতো ইউরোপেও অশুভ ও শুভ শক্তি নিয়ে নানা লৌকিক আচার-অনুষ্ঠান রয়েছে৷ একটা সময় ইউরোপে ‘ডাইনি’-দের পুড়িয়ে মারার চল ছিল৷ আবার রূপকথাগুলিতেও ছিল আশ্চর্য সব জাদুর গন্ধ৷ গ্রিম ভ্রাতৃদ্বয়ের ‘স্নো হোয়াইট’ বা ‘স্লিপিং বিউটি’-তেও আমরা ডাইনি, এঞ্জেল এবং শুভ-অশুভ শক্তির সংঘাতের নজির পাই৷
জীবন, ধর্ম, আচার-অনুষ্ঠানে শুভ-অশুভ শক্তি
জিন-পরীর অস্তিত্ব
বৌদ্ধ, হিন্দু আর খ্রিষ্টধর্মের পাশাপাশি ইসলামেও রয়েছে জিন-পরীর উল্লেখ, আছে ‘ইবলিশ’ বা শয়তানের কথা৷ এই ‘ইবলিশ’, ‘সিলা’ বা ‘ইফরিত’-রা নাকি সব দুষ্টপ্রকৃতির জিন বা আত্মা, যারা কবরস্থানে থাকে আর যে কোনো আকার ধারণ করতে পারে৷ অবশ্য শুধু অশুভ জিন নয়, আলাদিনের মতো শুভ জিন বা ফেরেশতার কথাও রয়েছে ‘সহস্র এক আরব্য রজনি’ -তে৷
জীবন, ধর্ম, আচার-অনুষ্ঠানে শুভ-অশুভ শক্তি
‘প্রিং কা-এক’ উৎসব
আধুনিক সমাজেও কিন্তু এমন হাজারো আচার-অনুষ্ঠান চোখে পড়ে৷ কম্বোডিয়ার মানুষদের যেমন আজও বিশ্বাস, অশুভ শক্তি অসুখ-বিসুখ নিয়ে আসে, মানুষের ক্ষতি করে৷ তাই ‘প্রিং কা-এক’ উৎসবে সারা গায়ে কালি মেখে, অশুভ আত্মাকে দূর করার কাজে নেমে পড়ে সহজ-সরল গ্রামবাসী৷ উৎসবের শেষ হয় ভূরিভোজ দিয়ে৷
ওয়াসিমের ভাই মহম্মদ রফিক প্যারালেটিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী৷ ভালো হবার আশা নেই৷ এই অবস্থায় নাসিম তাজ নিদান দেয় যে, রফিকের দেহে ভর করেছে প্রেতাত্মা৷ কম বয়সি একটি মেয়েকে বলি দিলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে এবং সেটা করতে হবে ৪০ দিনের মধ্যে৷ এতে প্রভাবিত হয়ে ওয়াসিম নিশানা করে আয়েষাকে৷ আয়েষার ফটো তুলে সে পাঠায় নাসিম তাজের অনুমোদনের জন্য৷
এরপর একদিন আয়েষা যখন তার বাবার দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিল, তখন তাকে অপহরণ করা হয়৷ মুখে কাপড় গুঁজে প্লাস্টিকের টেপ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় তার মুখ৷ কাছের একটা গম্বুজের ভেতরে নিয়ে গিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয় তাকে৷ পরে মৃতদেহ বস্তাবন্দি করে দূরে ফেলে দেওয়া হয়৷
পুলিশ আয়েষার মৃতদেহ ছাড়াও বস্তার মধ্যে পায় ঝড়ফুঁক ও ব্ল্যাক ম্যাজিকের উপকরণ৷ পুলিশ ওয়াসিমের কল রেকর্ড চেক করার পর জেরার মুখে ওয়াসিম অপরাধের কথা স্বীকার করে৷ বাড়ির লোকজন যখন আয়েষার খোজাখুঁজি শুরু করে, তখন ভালো মানুষ সেজে ওয়াসিম তাঁদের সঙ্গ দেয়৷ আয়েষা যাতে নিরাপদে ঘরে ফেরে তার জন্য স্থানীয় মসজিদে দোয়াও করে ওয়াসিম৷ এই নৃশংস ঘটনা চাউর হলে পাড়াপড়শিরা ওয়াসিমের বাড়ির ওপর চড়াও হয়, চালায় ভাঙচুর৷ এবং অবিলম্বে অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করে৷
এই নরবলি প্রথা শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই ছিল৷ তবে অতীতে৷ প্রাচীন গ্রিসে দেবতা জিউসের সামনে শিশুবলি দেবার প্রমাণ পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা৷ খরস্রোতা নদীর ওপর বাঁধ ও সেতু নির্মাণের আগে কিংবা ঘরবাড়ি তৈরির আগে অশুভশক্তিকে তুষ্ট করতে নরবলি দেওয়ার প্রথা ছিল জাপানে৷
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ভয়ংকর কিছু উপায়
শরীরকে দ্বিখণ্ডিত করা
বহু বছর আগে ইংল্যান্ডে এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতো৷ অপরাধী দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে সাজা দেয়ার স্থানে নিয়ে যাওয়া হতো৷ তারপর দুই পা’র মাঝ বরাবর কেটে ফেলা হতো৷
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ভয়ংকর কিছু উপায়
শূলে চড়ানো
রোমান সাম্রাজ্যে এ পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ছিল৷ যীশু খ্রীস্টকেও এভাবেই মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল৷ কাঠের তক্তার সঙ্গে হাত ও পায়ে পেরেক ঠুকে সেই তক্তা দাঁড় করিয়ে দেয়া হতো৷ এভাবে ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ত ব্যক্তিটি৷
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ভয়ংকর কিছু উপায়
কলম্বিয়ার টাই
কলম্বিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশে প্রথমে অপরাধীর মাথা কেটে ফেলা হতো৷ তারপর জিভ টেনে বের করে মাথাটা গাছে বেঁধে রাখা হতো৷
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ভয়ংকর কিছু উপায়
ষাঁড়ের পেটে
সিসিলিতে অ্যাক্রাগাসের শাসনামলে এই ভয়াবহ পদ্ধতির প্রচলন শুরু হয়৷ লোহার ষাঁড় বানানো হতো৷ অপরাধীকে ঐ ষাঁড়ের পেটে ঢুকিয়ে এর নীচে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হতো৷ ষাঁড়ের মুখ দিয়ে বের হতো অপরাধীর আর্তনাদ৷ মনে হতো ষাঁড়টিই চিৎকার করছে৷
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ভয়ংকর কিছু উপায়
সেপুকু
জাপানী যোদ্ধা সামুরাই এই পদ্ধতি ব্যবহার করতেন৷ নিজের হাতেই অপরাধীর অন্ত্র বের করে আনতেন, আর যখন অপরাধী ছটফট করতো, তখন সামুরাইয়ের কোনো সহযোগী তরবারি দিয়ে অপরাধীর শিরচ্ছেদ করে দিতো৷
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ভয়ংকর কিছু উপায়
লিং চি
চীনে বিংশ শতাব্দিতে এসে এই পদ্ধতি বাতিল করা হয়৷ এ ধরণের মৃত্যুদণ্ডে অপরাধীর প্রতিটি অঙ্গ একে একে ছিন্ন করা হতো৷ আর চেষ্টা করা হতো, যাতে সে দীর্ঘ সময় এ অবস্থায় জীবিত থাকে৷
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ভয়ংকর কিছু উপায়
জীবন্ত পুড়িয়ে মারা
১৯৩৭ সালে জাপানের সৈন্যরা বন্দি চীনাদের এই শান্তি দিয়েছিল৷
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ভয়ংকর কিছু উপায়
স্প্যানিশ থাবা
প্রাচীন কালে স্পেনে লোহা দিয়ে বিড়ালের থাবার মতো ধারালো হাতিয়ার বানানো হতো৷ আর অপরাধীর চামড়া ঐ হাতিয়ার দিয়ে খুবলে নেয়া হতো৷ চামড়ায় সংক্রমণের কারণে ঐ ব্যক্তির মৃত্যু ছিল অবধারিত৷
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ভয়ংকর কিছু উপায়
ক্যাথরিন হুইল
অপরাধীকে চাকার সঙ্গে বেঁধে দেয়া হতো৷ আর জল্লাদ ঐ চাকা ঘুরাতে থাকত, পাশাপাশি লাঠি দিয়ে প্রহার করতো৷ ফলে হাড্ডি ভেঙে ঐ ব্যক্তির মৃত্যু হতো৷
মিশরে ফারাওদের কবরের সঙ্গে বেশ কিছু ক্রীতদাসকে জ্যান্ত পুঁতে ফেলা হতো৷ দক্ষিণ এশিয়াতেও বড় বড় রাজা-মহারাজা বা জমিদারেরা বিশেষ কামনা পূরণের জন্য নরবলি দিত৷ নরমুণ্ড মালিনী, জিবে রক্তধারা, হাতে খাঁড়া নিয়ে দেবি কালীর বা দেবি চামুন্ডার বিগ্রহে অথবা বেদীতে নরবলি ছিল মর্যাদার প্রতীক৷ কালক্রমে এ প্রথাই মোষবলিতে বা পাঁঠা বলিতে নেমে আসে৷ হিন্দু পুরাণেও অশ্বমেধ যজ্ঞের মতো নরমেধ যজ্ঞের উল্লেখ আছে৷ কিন্তু এই একবিংশ শতকেও নরবলি?
যুক্তিবাদীরা মনে করেন, এর বড় কারণ অশিক্ষা আর দারিদ্র৷ অন্ধবিশ্বাসে চালিত হয়ে এরা ভাগ্যের ওপর সব কিছু ছেড়ে দেয়৷ আর সেই সুযোগটাই নেয় তান্ত্রিকরা৷ নানা রকমের ঝাড়ফুঁক, কবজ-তাবিজ, পশুবলি, এমনকি নরবলি কিংবা শিশুবলি দিয়ে ভাগ্য ফেরাবার অথবা গুপ্তধন পাবার পরামর্শ দিয়ে থাকে তারা৷ এটা এখনও চলছে৷ পুলিশ প্রশাসন এটা বন্ধ করতে তেমন গা করছে না৷ পশ্চিম উত্তর প্রদেশেও গত চারমাসে বেসরকারি হিসেবে ২৮টি নরবলি বা শিশুবলির ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় এক সংবাদপত্র সূত্রে জানা গাছে৷
এ বিষয়ে মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভা এক অধ্যাদেশ জারি করে সম্প্রতি৷ এতে নিষিদ্ধ করা হয় মানুষকে শারীরিক এবং আর্থিক ক্ষতি করে এমন সব ব্ল্যাক ম্যাজিক ও আঘোরি প্রথা৷ এর আগে নরবলি এবং ঐ ধরনের কুপ্রথা রোধে একটি বিল আনা হয়েছিল, যেটা ঝুলেছিল গত ১৮ বছর ধরে৷ আইন হতে পারেনি বিধায়কদের দোনামনায়৷ কিন্তু কেন? পাছে বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির উষ্মার কারণ হয়৷ বিজেপি ও মৌলবাদী শিবসেনার মতে, বিলে স্রেফ হিন্দুদের নিশানা করা হয়েছে৷ তাই এর বিরোধিতা করেছেন হিন্দু ধর্মীয়গুরুরা৷ এতে নাকি তাঁদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হবে৷ নেতা-মন্ত্রীদেরও যে ভিন্ন ভিন্ন গুরু আছে!
মহারাষ্ট্র সরকার অবশ্য নড়েচড়ে বসে যুক্তিবাদী নরেন্দ্র দাভলকরের হত্যাকাণ্ডের পর৷ দাভলকর এই বিল পাশ করার দাবি জানিয়ে আন্দোলন করে আসছিলেন৷ রাজ্যপালের সইয়ের পর এই অধ্যাদেশে কার্যকর হয়৷ অধ্যাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ১২টি কুসংস্কার-ভিত্তিক অন্ধপ্রথা৷ যেমন দুষ্ট আত্মা ভর করার বিশ্বাস, চলতি কথায় যার অর্থ ভূত তাড়ানোর নামে নানা ধরনের দৈহিক পীড়ন৷ এছাড়াও নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্রথার নামে যৌন লালসা মেটানো, মলমূত্র খাওয়ানো ইত্যাদি৷ নিষিদ্ধ হয়েছে ফিটের ব্যামো বা মানসিক অসুস্থতায় ডাক্তারি চিকিত্সায় বাধা দিয়ে ওঝা ও গুণিনদের পয়সা রোজগারের ধান্দা এবং অবশ্যই নরবলি৷ এইসব বিধিনিষেধ অমান্য করলে ছ'মাস থেকে সাতবছর পর্যন্ত জেল এবং পাঁচ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে৷ তবে যেসব ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে ব্যক্তির দৈহিক বা আর্থিক ক্ষতি হবে না, সেইসব এই অধ্যাদেশের আওতায় আসবে না৷
ভারতে আজও নরবলি হয় – এ কথা কি আপনার বিশ্বাস হয়? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷
নির্বাচিত প্রতিবেদন
নারীর রজঃস্রাব ও পুরুষের প্রতিক্রিয়া
নারীদেহের একটি সহজ ও সাধারণ জৈবিক প্রক্রিয়া যে কীভাবে বিভিন্ন যুগে, বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ধর্মে এক অসাধারণ প্রতীকী গুরুত্ব পেয়েছে, তা শুধু নৃতত্ত্ববিদদেরই আশ্চর্য করে না, আধুনিক নারীবাদীদের মনেও হতাশা আনে৷ (02.01.2017)
ডাইনি অপবাদ মোকাবিলায় বেকায়দায় ভারত
ডাইনি অপবাদ দিয়ে সম্প্রতি এক নারীর শিরশ্ছেদের ঘটনা আবারো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো যে, ভারতের কিছু এলাকায় মেয়েদের ডাইনি অপবাদ দিয়ে হত্যার কুপ্রথা এখনও রয়ে গেছে৷ এর আসল কারণ জাতপাত, লিঙ্গবৈষম্য ও প্রতিশোধস্পৃহা৷ (23.08.2015)
ভারতে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত
ভারতের সমাজ জীবনে কুসংস্কার গভীরভাবে প্রোথিত৷ এর বিরুদ্ধে লড়াই করা যে খুব কঠিন, সেটা জীবন দিয়ে বুঝিয়ে গেলেন কুসংস্কার-বিরোধী আন্দোলনকারী ডা. নরেন্দ্র দাভোলকর৷ মহারাষ্ট্রের পুনেতে তিনি আততায়ীর গুলিতে নিহত হন৷ (22.08.2013)
জীবন, ধর্ম, আচার-অনুষ্ঠানে শুভ-অশুভ শক্তি
‘গুড অ্যান্ড ইভিল পাওয়ার’, শুভ এবং অশুভ শক্তি – তা সে আপনি মানুন আর না মানুন – একে অগ্রাহ্য করার কিন্তু উপায় নেই৷ বৌদ্ধ, হিন্দু, খ্রিষ্টান, এমনকি ইসলাম ধর্মেও আমরা অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তির জয়ের কথা পাই৷ (04.06.2015)
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ভয়ংকর কিছু উপায়
গিলোটিনে মাথা কাটা, হাতির পায়ে পিষ্ট করা- প্রাচীনকালে এ ধরনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পদ্ধতি অনেককে আতঙ্কিত করে৷ কিন্তু এরচেয়েও নৃশংস কিছু পদ্ধতি রয়েছে, যার কথা হয়ত আপনাদের জানা নেই৷ সেগুলো দেখুন ছবিঘরে৷ (10.10.2016)
0 Reviews:
Post Your Review