নাক ডাকা বন্ধ করুন আজ থেকে - ashrafpur
SUBTOTAL :

Follow Us

হাতুড়ী ডাক্তার
নাক ডাকা বন্ধ করুন আজ থেকে

নাক ডাকা বন্ধ করুন আজ থেকে

হাতুড়ী ডাক্তার
Short Description:

Product Description



নাক ডাকা নিজের জন্য না হলেও ঘরের অন্য মানুষের জন্য নিশ্চয়ই বিরক্তিকর। মধ্যবয়স্ক ৪০ শতাংশ পুরুষ ও ২০ শতাংশ নারী ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন।

নাক ডাকার সমস্যা আপাত দৃষ্টিতে খুব বেশি ক্ষতিকর মনে না হলেও এটি আসলে বেশ খারাপ একটি সমস্যা।

এটিকে হৃদরোগের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। এছাড়া এই নাক ডাকার সমস্যা যে বেশ বিরক্তি কর ও বিব্রত কর, বিরক্ত/বিরক্তি বা এদসংক্রান্ত কারনেই হোক বা

‘নাই কাজ তো খই ভাজ’

যে কারনেই হোক নাক ডাকা নিয়ে গবেষনাও কম হলয় নাই। সে গবেষনার ধরণও বিচিত্র। এক নতুন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে প্রতি পাঁচ জোড়া স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অন্তঃত একজোড়া দম্পতি নাক ডাকারসমস্যার কারণে রাত্রে বেলায় আলাদাভাবে ঘুমায়, তা নতুন করে বলে দিতে হয় না। যিনি নাক ডাকেন তিনি না বুঝলে ও পাশে থাকা মানুষ টির ঘুম হারাম হয়ে যায়।তাই নাক ডাকা সমস্যা কে অবহেলা নয় মোটেই। সমস্যা টি কীভাবে দূর করা যায় সে বিষয়ে ভাবতে হবে। ঘরোয়া ভাবে খুব সহজে এবং বেশ সুস্বাদু উপায়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

নাক কেন ডাকে

ঘুমের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতিপথে কোনো বাধা পেলে বাতাস শ্বাসযন্ত্রে কাঁপুনির সৃষ্টি করে। এরই ফলে নাক ডাকার শব্দ হয়।– ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে গলার চারপাশের চর্বি জমা হয়।– গলার পেশির নমনীয়তা কমে গেলে।– জন্মগত কারণে শ্বাসযন্ত্র সরু হলে বা চোয়ালে কোনো সমস্যা থাকলে– ধূমপান, অতিরিক্ত অ্যালকোহল ও ঘুমের ওষুধ এই সমস্যা বাড়ায়।– থাইরয়েডের সমস্যা ও গ্রোথ হরমোনের আধিক্যজনিত রোগে।– অনেক সময় চিত হয়ে ঘুমালে জিব পেছনে চলে গিয়ে শ্বাসনালি বন্ধকরে দেয়

নাক ডাকার সমস্যা চিরতরে দূর করবে ২ টি জাদুকরী পানীয়

.গাজর আপেলের জুস শুনতে সাধারণ মনে হলেও এই জুসের রয়েছে শ্বাসনালী কিছুটা চওড়া ও শ্বাসনালীর মিউকাস দ্রুত নিঃসরণের ক্ষমতা যা নাক ডাকা থেকে মুক্তি দিতে বেশ কার্যকর। 

২ টি আপেল ছোটো ছোটো খণ্ডে কেটে নিন এবং ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। 

এবার ২ টি গাজর কেটে ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন।

এরপর একটি লেবুর ১/৪ অংশ কেটে রস চিপে এতে দিয়ে দিন এবং ১ চা চামচ আদা কুচি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। কিছুটা পানি দিয়ে বেশ ভালো করে ব্লেন্ড করে নিয়ে ছেঁকে নিন।এই পানীয় টি প্রতিদিন পান করুন। নাক ডাকার সমস্যা দূরে পালাবে।

কিছু পরামর্শ

.

নেশাজাতীয় দ্রব্য ও ঘুমের ওষুধ পরিহার, বিশেষ করে ঘুমাতে যাওয়ার সময় যাঁরা অ্যালকোহল পান করেন, তাঁরা বেশি নাক ডাকেন।

.

মাথার নিচে বালিশ দিলে বুকের চেয়ে মাথা বেশি উঁচুতে থাকে। এতে করে নাক ডাকার আশঙ্কা কিছুটা কমে যায়।

.

ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করাই ভালো।

.

নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা উচিত। এতে করে ঘুমের সঙ্গে শরীরেরএকধরনের সামঞ্জস্য তৈরি হয়। ফলে অভ্যাসেরও পরিবর্তন হয়।

.

শরীরচর্চা করলে পেশি, রক্তের চলাচল ও হূিপণ্ডের স্পন্দন বাড়ে। শরীরচর্চা করলে ঘুমও ভালো হয়। এ কারণে নাক ডাকাকমাতে হলে প্রতিদিন ৩০ মিনিট শরীরচর্চার অভ্যাস করা জরুরি।

.

প্রচুর পানি পান করা :প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। এতে করে নাসারন্ধ্রে লেগে থাকা আঠার মতো দ্রব্যগুলো দূর হবে।

.

নাক পরিষ্কার রাখাটা খুবই জরুরি। কারণ, এতে করে একজন ব্যক্তি সহজভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারেন।

.

ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালোভাবে নাক পরিষ্কার করতে হবে। এমনকি এ ক্ষেত্রে ইনহেলার ব্যবহার করা যেতে পারে।দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া

.

ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে জেগে থাকা অবস্থায়ই খাবার হজম হয়ে যাবে। এর ফলে রাতে ভালো ঘুম হবে। নাক ডাকাও কমবে।তবে এসব উপায় অবলম্বন করার পরও যদি নাক ডাকা বন্ধ না হয়, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিত্সকের শরণাপন্ন হবেন

0 Reviews:

Post Your Review